উত্তরাধিকার
রিপন বড়ুয়া, চট্রগ্রাম
রাখাল বড়ুয়া তাঁর মেয়ে পূর্ণাকে চেনেন স্বাধীনচেতা একজন মানুষ হিসেবে। কিন্তু নির্দেশ মানতে মেয়ের ছিল নানা গড়িমসি। যখন সে ছোট ছিল, নিজের পায়ে দাঁড়াতে গিয়ে ডান-বাম নিয়ে নানা ঝামেলা করতো। বড় হয়ে মেয়ে যখন মোটরসাইকেলের আবদার করল, বাবা হিসেবে অসহায় বোধ করলেন রাখাল বড়ুয়া। ঠিকমতো চালাতে পারবে তো তাঁর মেয়ে?
কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি। মেয়েকে মোটরসাইকেল চালানো শেখান তিনি। কখন ডানে, কখন বামে যেতে হবে কিংবা কখন ব্রেক কষতে হবে—সবই শেখান।
সন্তানদের তো এভাবেই বড় করে তোলেন বাবারা। যেভাবে পেছন পেছন ঘুরে মোটরসাইকেল চালানো শেখান, সন্তান লালন-পালনও যেন ঠিক তেমনই।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ে বাবার ভয়, আতঙ্ক কিছুটা তো আছেই।
তারপরও রাখাল বড়ুয়া তাঁর মেয়েকে নিয়ে গর্বিত।